-
বয়স: ২৫ থেকে ৫০ বছর
১. ধর্মীয় শিক্ষা ও যোগ্যতা:
-
স্বীকৃত দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সম্পন্ন।
-
তাফসির, হাদিস, ফিকহ ও আকিদায় গভীর জ্ঞান।
-
কুরআন তিলাওয়াতে উৎকৃষ্ট দক্ষতা, তাজভিদসহ।
-
খুতবা ও বক্তৃতায় আরবি ও বাংলা ভাষায় পারদর্শিতা; ইংরেজিতে প্রাথমিক দক্ষতা থাকলে অগ্রাধিকার।
২. ফিকহি ও আকিদাগত মানদণ্ড:
-
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আকিদা।
-
মাজহাবি মতভেদের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ও সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি।
-
বিদআত, উগ্রতা ও বিভেদমূলক মতবাদ থেকে মুক্ত অবস্থান।
৩. খুতবা ও দাওয়াহ দক্ষতা:
-
জুমা এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে সমসাময়িক, গঠনমূলক ও ঐক্যবদ্ধ খুতবা প্রদানের সক্ষমতা।
-
জাতীয় ও সামাজিক ইস্যুতে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে পারদর্শিতা।
-
মিডিয়া ও জনসমক্ষে বক্তব্য প্রদানে শালীনতা ও প্রজ্ঞা।
৪. অভিজ্ঞতা:
-
বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে কমপক্ষে ১০–১৫ বছরের ইমামতি ও খুতবা প্রদানের অভিজ্ঞতা।
-
জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধর্মীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার।
৫. ব্যক্তিগত চরিত্র ও নৈতিকতা:
-
উচ্চ নৈতিক মান, তাকওয়া, আমানতদারি এবং ব্যক্তিগত শুদ্ধতা।
-
রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শালীনতা বজায় রাখার সক্ষমতা।
-
বিতর্কিত বক্তব্য বা কার্যকলাপে জড়িত না হওয়া।
৬. রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা:
-
বাংলাদেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
-
রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা এবং জাতীয় ঐক্যের পক্ষে অবস্থান।
-
সরকার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুসরণে সক্ষম।
৭. প্রশাসনিক ও নেতৃত্বগুণ:
-
সহকারী ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মসজিদ কর্মীদের সমন্বয় করার নেতৃত্বগুণ।
-
সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা এবং প্রাতিষ্ঠানিক আচরণে অভ্যস্ত।